ডিগনিটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশ্ব অ্যালঝাইমার্স দিবস পালন –
গতকাল ছিল ২১শে সেপ্টেম্বর বিশ্ব অ্যালঝাইমার্স দিবস। দিনে দিনে বাড়ছে ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমার্স রোগ। বর্তমানে আমাদের দেশে ৫০ লক্ষের ও বেশি মানুষ ডিমেনশিয়া রোগটিতে ভুগছেন। আমাদের রাজ্যেও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমার্স রোগটি কিন্তু মূলত বয়স্কদের অসুখ। অ্যালঝাইমার্স হলো ডিমেনশিয়ার একটি প্রকার। ৭০% – ৮০% ডিমেনশিয়ার কারণ হলো অ্যালঝাইমার্স। রোগটি প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে একে সহজে আটকানো যায়।
কিন্তু এর জন্য চাই সার্বিক সচেতনতা। জানতে হবে কি কি প্রাথমিক লক্ষণ। কখন সতর্ক হতে হবে। কারণ বয়স কালে যে কোনো সমস্যাকেই বয়স জনিত সমস্যা ধরে নিয়ে তাকে পাত্তা দিই না। সমস্যা যখন গভীর রূপ ধারণ করে তখন আমরা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই। সেই সময়ে চিকিৎসকেরও কিছু করার থাকেনা। আর প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে তাকে চিকিৎসা করা তুলনামূলক অনেক সহজ। রোগের প্রকোপ বা প্রোগ্রেসনকে অনেক আটকানো যায়। কোয়ালিটি অফ লাইফকেও অনেক ভালো রাখা যায়। তার জন্য চাই আমাদের সার্বিক সচেতনতা।
সেই সচেতনতার লক্ষ্যেই প্রতিবারের মতন এবারেও প্রবীণদের নিয়ে কাজ করা সর্বভারতীয় সংগঠন ডিগনিটি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে একটি আলোচনা র আয়োজন করা হয়েছিল। যদিও ঠিক হয়েছিল প্রত্যক্ষ ভাবে কলকাতা স্থিত মূল কার্যালয় ঢাকুরিয়ায় অনুষ্ঠানটি করার, কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়াল মাধ্যমে এ করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে ডিগনিটি ও বাঁচবো র প্রবীণ সদস্যদের অংশ গ্রহণ ছিল সত্যি চোখে পড়ার মতন। শুধু মাত্র অংশ গ্রহণই নয় আলোচনা য় সক্রিয়ভাবে যোগদান এবং তাঁদের মূল্যবান মতামত অনুষ্ঠানটিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন বহু অশীতিপর ও নবতীপর প্রবীণ মানুষও। এমনকি বিদেশের থেকে ও অনেকে অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য রাখেন বার্ধক্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ ধীরেশ কুমার চৌধুরী। সহজ ভাষায় তিনি অ্যালঝাইমার্স রোগটির সম্পর্কে সচেতনতা মূলক বক্তব্য রাখেন এবং শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ডিগনিটি ফাউন্ডেশনের চ্যাপ্টার হেড শ্রীমতি রুমা চ্যাটার্জি সমগ্র অনুুুষ্ঠানটিকে
তাঁর সহজাত প্রাঞ্জল সঞ্চালনায় সুদক্ষ ভাবে পরিচালনা করেন।