আমাদের সুন্দরবন ট্রিপের টীম, যার বেশিরভাগ সদস্যই মনের দিক থেকে বলা চলে এখনও কুড়িতেই আটকে (বয়সের সংখ্যা যাই বলুক), তাঁদের কে সঙ্গে নিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণ এক কথায় বলা চলে অভূতপূর্ব। যাঁদের মধ্যে সবচেয়ে তরুণ তুর্কি ৮৪ বছরের দুই জন শ্রী রমল মুখোপাধ্যায় আর শ্রী মনোজ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
অন্যদের উৎসাহ ও ছিলো দেখার মতন। একবারও প্রকাশ পায়নি কোনো রকম বয়স ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা।
প্রথমদিনে আমাদের স্কুলের শিশুদের সাথে এক মিলন সন্ধ্যা। প্রত্যেকেরই মন ছুঁয়ে গেছে এই প্রয়াস। কেউ কেউ তো আবেগ আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলেন। প্রত্যেকেই ব্যক্ত করেছেন তাঁদের এই ভালো লাগার অভিব্যক্তি। আর দ্বিতীয় দিনে ছিলো প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে মনোরম পরিবেশে লঞ্চে বনি ক্যাম্প ভ্রমণ। প্রায় ৮ ঘন্টার যাত্রা পথে একবারের জন্যও কাউকে পরিশ্রান্ত মনে হয়নি। সমস্ত দিক মাথায় রেখে পুরো ট্রিপের খাওয়া দাওয়াও ছিলো মুখরোচক অথচ স্বাস্থ্য সম্মত।
আবার কবে হবে? এই আবেদন ই বুঝিয়ে দিয়েছে কতটা উপভোগ্য হয়েছে এই প্রয়াস।
আপনাদের এই স্বতঃস্ফূর্ত আবেগে আমরাও আপ্লুত ও ভীষণ খুশি।
আমাদের কাজ শুধুমাত্র প্রবীণদের শারীরিক নয় মানসিক ভাবে ও ভালো রাখা। তাই পেশাগত সমস্ত দায়িত্ব পালনের পরেও বাঁচবো পরিবার আপনাদের জন্য এই দায়িত্ব খুশির সাথে নিজেদের কাঁধে নিতে চায়। আর আপনাদের এই আবেগ ও ভালোবাসা তাতে আরও সাহস জোগায়, অনুপ্রাণিত করে।